আসসালামুয়ালাইকুম আশা করছি সবাই ভালো আছেন । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিবিএ এর প্রথম বর্ষের সকল সাবজেক্টের ব্যবস্থাপনা নীতিমালা কোর্সের সকল অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো থেকে এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলো তৈরি তাই সকলের জন্য এই পোস্টটি গুরুত্বপুর্ণ । পরবর্তীতে পড়ার জন্য পেজটি বুকমার্ক করে রাখুন ।
ব্যবস্থাপনা নীতিমালা (অধ্যায় ১-৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পার্ট ১
ব্যবস্থাপনা নীতিমালা (অধ্যায় ৪-১০) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পার্ট ২
অধ্যায় ৪ উদ্দেশ্য
১. উদ্দেশ্য কি বা কাকে বলে ?
উদ্দেশ্য হল পরিকল্পনা কাঠামোর ভিত্তি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলীর প্রান্তঃসীমা নির্দেশিত হয়। এটা সুস্পষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য ভবিষ্যতে অর্জনের লক্ষ্যে কাঙ্খিত কার্যাবলীর সমষ্টি। ব্যবস্থাপনার সকল কাজই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে সম্পাদিত হয়।
২. উদ্দেশ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনা কি ?
উদ্দেশ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনা এমন একটি ব্যাপক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি যেখানে উর্ধ্বতন ও অধস্তন ব্যবস্থাপকরা যৌথভাবে বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্য, ফলাফলকেন্দ্রিক ব্যক্তিক ও দলীয় দায়িত্ব নির্ধারণ করে ও তা অর্জনে কাজ করে ।
৩. উদ্দেশ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ধারণার উদ্ভাবক কে ?
পিটার এফ ডাকার
৪. লজিস্টিক কি ?
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত সময়ে, উপযুক্ত স্থানে সম্পদ সরবরাহকে লজিস্টিকস্ বলে।
অধ্যায় ৫ সিদ্ধান্ত গ্রহণ
১. সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি ?
সিদ্ধান্তগ্রহণ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের নিমিত্তে বিভিন্ন বিকল্প কার্যধারা চিহ্নিতকরণ এবং সেগুলো থেকে একটি উপযুক্ত কর্মপন্থা নির্বাচন ।
২. সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাকে বলে ?
দুই বা ততোধিক সম্ভাব্য বিকল্পের মধ্য থেকে একটি বিকল্প বাছাই করার প্রক্রিয়াকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলে ।
৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম ধাপ কোনটি ?
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম ধাপ – সমস্যা চিহ্নিতকরণ (Identifying the problem) ।
৪. সিদ্ধান্ত বৃক্ষ কি ?
সিদ্ধান্ত বৃক্ষ হচ্ছে সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণের একটি কৌশল । এখানে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী যে গাণিতিক কৌশল ব্যবহার করেন তাকে সিদ্ধান্ত বৃক্ষ বলে ।
অধ্যায় ৬ কর্মীসংস্থান
১. কর্মীসংস্থান কি / কী ?
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরে কর্মীর চাহিদা নিরূপণ, বিভিন্ন উৎস থেকে তাদেরকে সংগ্রহ, নির্বাচন এবং উপযুক্ত কাজে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের প্রক্রিয়াকে কর্মীসংস্থান বলে।
২. কর্মীসংস্থান কাকে বলে ?
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরে কর্মীর চাহিদা বের করা, বিভিন্ন উৎস থেকে তাদেরকে সংগ্রহ করা, নির্বাচন এবং উপযুক্ত স্থানে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের যাবতীয় প্রক্রিয়াকে কর্মীসংস্থান বলে।
৩. কর্মীসংস্থান বলতে কি বোঝায় ?
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরে কর্মীর চাহিদা নিরূপণ, বিভিন্ন উৎস থেকে তাদেরকে সংগ্রহ, নির্বাচন এবং উপযুক্ত কাজে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের প্রক্রিয়াকে কর্মীসংস্থান বলে।
৪. কর্মীসংস্থান প্রক্রিয়ার প্রথম কাজ কি ?/ কর্মী সংস্থানের প্রথম ধাপ কোনটি ?
মানবসম্পদ পরিকল্পনা
৫. প্রশিক্ষণ কি ?
প্রশিক্ষণ হলো প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির একটি প্রক্রিয়া ।
৬. পদ আবর্তন প্রশিক্ষণ কি ?
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যপ্রনালী সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমান্তরাল পদে কাজ করতে দেওয়া হয় এবং কর্মীরা এখানে কাজ করতে করতে শেখে তখন তাকে পদ আবর্তন প্রশিক্ষণ বলে ।
৭. বাস্তব প্রশিক্ষণ কি ?
যখন প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কর্মীদের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করা হয় তাকে বাস্তব প্রশিক্ষণ বলে ।
সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কি ?
৮. পদোন্নতি কি ?
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মীকে তার বর্তমান পদ থেকে অন্য কোন পদে অধিকতর আর্থিক সুবিধে, উচ্চতর মর্যাদা ও অন্যান্য বাড়তি সুযোগসহ নিয়োগ দেয়া হলে তাকে পদোন্নতি বলে।
৯. শুল্ক পদোন্নতি কি ?
আর্থিক সুযোগ – সুবিধা বৃদ্ধি না করে একজন কর্মীকে তার বর্তমান পদ হতে অপেক্ষাকৃত অধিক দায়িত্বসম্পন্ন উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত করাকে শুল্ক পদোন্নতি বলে।
১০. পদোন্নতির ভিত্তি কয়টি বা পদোন্নতির ভিত্তি গুলো কি ?
প্রতিষ্ঠানের উচ্চতর পদে বর্তমানে কর্মরত কর্মীকে পদায়নের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয় তাকে পদোন্নতির ভিত্তি বলে। সাধারণত পদোন্নতিজনিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তিনটি বিষয় বিবেচনা কর থাকেন। যেমন:
ক. জ্যেষ্ঠতা (Seniority)
খ. মেধা ( merit)
গ. জ্যেষ্ঠতা ও মেধা (Seniority and merit )
১১. বরখাস্ত বা পদচ্যুতি কি ?
কোন ব্যক্তিকে তার অনৈতিক কাজের জন্য বর্তমান পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করাকে বরখাস্ত বা পদচ্যুতি বলে। পদোন্নতির ভিত্তিগুলোর নাম লিখ।
১২. কর্মী ব্যবস্থাপনার জনক কে ?
রবার্ট ওয়েন
১৩. আধুনিক কর্মী ব্যবস্থাপনার জনক কে ?
রবার্ট ওয়েন
১৪. শ্রমিক কর্মী ব্যবস্থাপনার জনক কে ?
রবার্ট ওয়েন
১৫. কর্মী নির্বাচন কি / কী ?
যে প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত কর্মীদের থেকে সর্বোত্তম কর্মী বাছাই করা হয় তাকে কর্মী নির্বাচন বলে ।
অধ্যায় ৭ সংগঠিতকরণ
১. সরলরৈখিক সংগঠন কি ?
এরূপ সংগঠনে কর্তৃত্ব উঁচু স্তর থেকে নিচু স্তরের কর্মীদের কাছে নেমে আসে। ‘আদেশের শৃঙ্খল’ অনুসারে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নির্দেশ এবং নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত তথ্য ও ফলাবর্তন প্রবাহিত হয়।
২. সরলরৈখিক সংগঠনের অপর নাম কি ?
মিলিটারি বা স্কেলার টাইপ সংগঠন
৩. ব্যবস্থাপনা সংগঠন কাকে বলে ?
সংগঠন বা ব্যবস্থাপনা সংগঠন হল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্যে প্রতিষ্ঠানের উপায় উপকরণাদি ও কাজকে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ, উপ-বিভাগ ও নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিটি কর্মীর মধ্যে বন্টনের পর পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করার মাধ্যমে একটা কাঠামোয় রূপদান করার প্রক্রিয়া।
৪. পদস্থ কর্মী সংগঠন কি বা কাকে বলে ?
যেখানে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন একসাথে কাজ করে তাকে পদস্থ কর্মী সংগঠন বলে ।
৫. কার্যভিত্তিক সংগঠন কি ?
এরূপ সংগঠনে কর্তৃত্ব উঁচু স্তর থেকে নিচু স্তরের কর্মীদের কাছে নেমে আসে। ‘আদেশের শৃঙ্খল’ অনুসারে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নির্দেশ এবং নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত তথ্য ও ফলাবর্তন প্রবাহিত হয়।
৬. উপদেষ্টা বলতে কি বুঝায় ?
কতিপয় ব্যক্তিনা সমন্বয়ে গঠিত যে দল সরলরৈখিক কর্মকর্তাকে উপদেশ ও সেবাদান করে তাদেরকে উপস্থ বা পদস্থকর্মী বলে।”
৭. কমিটি কি ?
কমিটি হচ্ছে কোন প্রশাসনিক কাজ সম্পাদনের জন্যে বিশেষভাবে মনোনীত বা নির্বাচিত কতিপয় ব্যক্তির নদী। তারা নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ও সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন। কমিটিতে কয়েকজন লোকের সম্মেলন ঘটে বলে একে কমিটি সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়।
৮. সংগঠন পুনঃকাঠামোবদ্ধকরণ বা পুনঃপ্রকৌশলীকরণ কাকে বলে ?
সম্পাদিত কার্য বিষয়ে বায়, মান, সেবা ও গতিসম্পর্কিত সমসাময়িক জটিল পরিমাপককে হিসেবে নিয়ে কার্যক্ষেত্রে দ্রুত অভাবিত উন্নয়ন করার জন্যে ব্যবসায় প্রক্রিয়ার মৌলিক পুনঃভাবনা ও বড় ধরনের পুনঃডিজাইনকে পুনঃপ্রকৌশলীকরণ বলে।
৯. কার্যভিত্তিক বিভাগীয়করণ কাকে বলে?
প্রতিষ্ঠানের কাজের উপর ভিত্তি করে যখন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ গঠন করা হয় তখন তাকে কার্যভিত্তিক বিভাগীয়করণ বলে। সাধারণত বৃহদায়তন উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বিভাগীয়করণ করা হয়।
১০. মেট্রিক্স সংগঠন কি বা কাকে বলে ?
যখন একই সংগঠন কাঠামোতে কার্যভিত্তিক ও প্রবাভিত্তিক এই দু’ধরনের বিভাগীয়করণ সংমিশ্রণ করা হয় তখন একে মেট্রিক্স সংগঠন বলে।
১১. ‘কৌশলগত ব্যবসায় একক’ ধারণাটি কী ?
কৌশলগত ব্যবসায় একক হল ব্যবসায়কে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা এবং প্রত্যেক ক্ষুদ্র এককের জন্যে আলাদাভাবে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। একটা বৃহৎ সংগঠনের যতগুলো পণ্য থাকে তার প্রত্যেকটির জন্যে আলাদা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। এটি বিভাগীয়করণের একটি নতুন কৌশল ।
১২. ক্ষমতা কি ?
ক্ষমতা হলো এক ধরনের প্রভাবক শক্তি যা ব্যক্তি বা দলের সামর্থ্যকে বুঝায়, যা দ্বারা অন্য ব্যক্তি বা দলের বিশ্বাস বা কার্যক্রমকে প্রভাবিত করা যায়।
১৩. উপদেষ্টা কৰ্তৃত্ব কি ?
কতিপয় ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে দল সরলরৈখিক কর্মকর্তাকে উপদেশ ও পরামর্শদান করে তাদেরকে উপদেষ্টা বা পদস্থকর্মী বলে।”
১৪. কর্তৃত্ব কি ?
সাংগঠনিক পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত ঊর্ধ্বতনের আদেশদানের অধিকার ও অধস্তনদের কাছ যেতে আনুগত্য আদায়ের ক্ষমতাকেই কর্তৃত্ব বলে।
১৫. কর্তৃত্বাপণ কি ?
সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় কর্তৃত্বাপণ একটি প্রক্রিয়া যেখানে উর্দ্ধতন তার অধস্তনের কাছে কার্য সম্পাদনের জন্যে আদেশ প্রদান করেন এবং অধস্তনকে প্রয়োজনীয় তত্ত্ববধান করেন।
১৬. কেন্দ্রীকরণ কি ?
একটি প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া অধস্তন কর্মীদের ওপর ন্যস্ত না করে ব্যবস্থাপকীয় পর্যায়ে সমুদয় কর্তৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ন্যাস্ত রাখাকে কেন্দ্রীকরণ বলে । ব্যবস্থাপনার শীর্ষস্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সংরক্ষিত রাখার নামই কেন্দ্রীয়করণ ।
১৭. বিকেন্দ্রীকরণ কি ?
যে প্রক্রিয়ায় কর্তৃত্ব অর্থাৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন, সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা, নির্দেশদান ও নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠানের উচুস্তর থেকে নিচু স্তরে পর্যায়ক্রমে অর্পণ করা হয় তাকে বিকেন্দ্রীকরণ বলে। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা শুধু উচুস্তরে না রেখে সবার মাঝে ভাগ করে দেওয়াকেই বিকেন্দ্রীকরণ বলে ।
১৮. দায়িত্ব কি ?
কোন কাজ সন্তোষজনকভাবে সম্পাদন বা সম্পন্ন করার জন্য যদি কোন বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয় তাকে দায়িত্ব বলে। দায়িত্ব অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে এবং যার ব্যর্থতার ফলসরূপ শান্তি রয়েছে ।
১৯. কার্যভিত্তিক সংগঠন কি ?
ব্যবস্থাপনার কার্যাবলিকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে এদের এক একাধিক এক একজন বিশেষজ্ঞের ওপর ন্যস্ত করা হলে তাকে কার্যভিত্তিক সংগঠন বলে।
২০. তত্ত্বাবধান পরিসর কাকে বলে?
প্রতিষ্ঠানে একজন ব্যবস্থাপক বা তত্ত্বাবধায়ক তার অধীন যে সংখ্যক কর্মী সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করেন তাকে ওই ব্যবস্থাপক বা তত্ত্বাবধায়কের তত্বাবধান পরিসর বলে । এবং যাদের কাজের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় করতে পারেন সে সংখ্যাই হল ওই ব্যবস্থাপক বা তত্ত্বাবধায়কের তত্ত্বাবধান পরিসর।
২১. কাম্য তত্ত্বাবধান পরিসর কাকে বলে ?
প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য অর্জনে একজন নির্বাহী যত জন অধস্তন কর্মীর কাজ সুষ্ঠু ও দক্ষতার সাথে তত্ত্বাবধান করতে পারেন সে সংখ্যাকে কাম্য তত্ত্বাবধান পরিসর বলে।
২২. সংগঠন কাঠামো কি ?
কোন লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য যে কাঠামো সৃষ্টি করে তাকে সংগঠন কাঠামো বলে।
২৩. সাংগঠন চার্ট কি ?
কারবার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কাজে নিয়োজিত কর্মীদের বিভিন্ন পদের উপর- নিচে সম্পর্ক প্রকাশ করার জন্য যে পদাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা হয় তাকে সংগঠন তালিকা বা সংগঠন নক্শা বলে।
২৪. লার্নিং সংগঠন কি ?
যে সংগঠন তার কাঠামো এবং কাজকে নিয়মিত নবায়নের মাধ্যমে বাহ্যিক পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে তাকে লার্নিং সংগঠন বলে।
২৫. ই-কমার্স কি ?
ইলেকট্রনিক কমার্সকেই সাধারণ অর্থে ই-কমার্স (e-Commerce) বলা হয়। ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কমপিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয়ের কাজটিকেই ই- কমার্স বলে।
অধ্যায় ৮ ব্যবস্থাপনার মানবীয় উপাদান ও প্রেষণা
১. প্রেষণা কি ?
প্রেষণা এমন একটা প্রক্রিয়া যা কর্মীদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে সর্বোত্তম কার্যসম্পাদন নিশ্চিত করা যায় এবং চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন ।
২. নেতিবাচক প্রেষণা কৌশল কি ?
অনাকাঙ্খিত আচরণ থেকে কর্মীকে নিরুৎসাহিত করার জন্যে প্রতিষ্ঠানে নেতিবাচক প্রেষণা ব্যবহার দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্যে কর্মীদের কার্যসম্পাদনে বাধ্য করা হয় এবং নানা প্রকার শান্তি (punishment) ও বিলুপ্তকরণ (extinction) উদ্দীপক ব্যবহার করা হয় ।
৩. প্রেষণার সোপান তত্ত্বের উদ্ভাবক কে ?
আব্রাহাম এইচ মাসলো
৪. হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্ত্বের উপাদান দু’টির নাম কি?
প্রেষণামূলক ও রক্ষণাবেক্ষণমূলক।
৫. প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্ত্ব কে দিয়েছেন ?
ফ্রেডারিক হার্জবার্গ।
৬. কর্মীদের প্রেষণাদানের উপায় কি কি ?
১. আর্থিক, ২. অনার্থিক ।
৭. অনার্থিক প্রেষণা কাকে বলে ?
শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক কর্মচারীদিগকে প্রণোদিত করার জন্য আর্থিক উপাদানসমূহের পাশাপাশি যে অনার্থিক অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় তাকে অনাআর্থিক প্রেষণা বলে ।
৮. আর্থিক প্রেষণার দুটি উদাহরণ দাও ।
বোনাস, আবাসিক সুবিধা।
৯. ‘চাকুরী সমৃদ্ধকরণ’ এর সংজ্ঞা দাও।
কর্মীদেরকে তাদের কাজে সন্তুষ্টি প্রদানের অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে কার্যসমৃদ্ধকরণ। এটি এমন একটা প্রচেষ্টা যার মাধ্যমে কর্মীরা তাদের সামর্থ্যের পূর্ণ ব্যবহারের সুযোগ পায় ।
১০. সমতা তত্ত্ব কি ?
১৯৬৫ সালে মনোবিজ্ঞানী J. Stacy Adams সমতা তত্ত্বটি উদ্ভাবন করেন। এ তত্ত্বে কর্মীর কর্মসন্তুষ্টি নির্ভর করে । তার দৃষ্টিতে কর্মক্ষেত্রে প্রাপ্ত ন্যায় বা অন্যায়ের ওপর । এ ন্যায় বা অন্যায় নির্ধারণে কর্মী তার অবদান ও প্রাপ্ত কার্যফল । এটা কর্মীদের প্রেষিত মূল্যায়ন করে।
১১. মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বের ধাপ কয়টি ?
মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বের ধাপ – ৫টি।
১২. ম্যাকগ্রেগরের X তত্ত্ব কি ?
X তত্ত্বে মানুষ সম্পর্কে গতানুগতিক ধারণা পোষণ করা হয়। এতে কর্মীদেরকে নিয়ন্ত্রণ, নির্দেশনা ও পরিচালনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। X তত্ত্ব একটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। কর্মীদের নিচুমানের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে X তত্ত্ব কার্যকরী।
১৩. ম্যাকগ্রেগরর Y তত্ত্ব কী?
Y তত্ত্বে কর্মীকে উৎপাদনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মনে করা হয়। কর্মীদের উঁচুস্তরের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে এ তত্ত্ব কার্যকরী। এ তত্ত্বে কর্মীদেরকে ব্যবস্থাপনা অংশীদার হিসেবে মনে করা হয়। কর্মীদেরকে সম্ভাবনার অধিকারী ও সৃজনশীল মনে করা হয় ।
১৪. প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্ত্ব কে দিয়েছেন ?
অধ্যাপক ফ্রেডারিক হার্ডবার্গ (Prof. Frederick Herzberg)..
১৫. থিওরী X ও Y তত্ত্বের প্রবর্তক কে ?
ডগলাস ম্যাকগ্রেগরের।
১৬. প্রেষণার সোপান তত্ত্বের উদ্ভাবক কে?
প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী আব্রাহাম এইচ মাসলো (Abraham H. Maslow)
১৭. হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্ত্বের উপাদান দু’টির নাম কি?
(১) রক্ষনাবেক্ষণ মূলক উপাদান (২) প্রেষণা মূলক উপাদান।
১৮. Z তত্ত্বের উদ্ভাবক কে?
প্রফেসর উলিয়াম ওচি (Prof. Willam Ouchi)
১৯. Z তত্ত্বের মূল বক্তব্য কি ?
শ্রমিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে সম্পর্ক থাকবে অত্যন্ত সুন্দর ও আন্তরিক, তাঁরা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্যের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে। তিনি শিল্প টিম গঠনের উপর জোর দেন।
২০. ই. আর জি (ERG) তত্ত্বের উদ্ভাবক কে ?
ক্রেটন এলডারফারকে
২১. লক্ষ্য নির্ধারণ তত্ত্ব কি ?
প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী Dr. Edwin A. Locke লক্ষ্যনির্ধারণী তত্ত্বের প্রবক্তা। এ তত্ত্বের মূল বক্তব্য হচ্ছে সংগঠনে ব্যবস্থাপক ও তার অধীনস্থ কর্মীরা নিয়মিতভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।
২২. লক্ষ্য নির্ধারণী তত্ত্বের প্রবক্তা কে ?
প্রখ্যত মনোবিজ্ঞানী Dr. Edwin A. Locke কে লক্ষ্য নির্ধারণী তত্ত্বের প্রবক্তা বলে।
অধ্যায় ৯ নেতৃত্ব
১. নেতৃত্ব কি বা নেতৃত্বের সংজ্ঞা দাও ।
প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্যে অন্যকে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সমর্থন দিয়ে কাজ করতে প্রভাবিত করার প্রক্রিয়াকে নেতৃত্ব বলে ।
২. ব্যবস্থাপনা গ্রিড কাকে বলে ?
ব্যবস্থাপনা গ্রিড হচ্ছে নেতৃত্বের ধরন নির্বাচনের একটি চিত্রগত উপস্থান (Graphical Representation) ।
৩. প্রভুত্বমূলক বা স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব কাকে বলে ?
এ ধরনের নেতৃত্বে নেতা নির্দেশ দেন এবং অনুসারীরা অকপটে তা মানতে বাধ্য থাকে। নেতা এককভাবে সিদ্ধান্তগ্রহণ করেন এবং অনুসারীরা তা বাস্তবায়ন করে। এক্ষেত্রে অনুসারীদের কাছ থেকে কোন পরামর্শ বা মতামত গ্রহণ করা হয় না।
৪. গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব কি ?
এ নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এ নেতৃত্বে নেতা এবং অনুসারীরা বা কর্মীরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এখানে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত হয় অর্থাৎ নেতা ক্ষমতা নিজের কাছে পুঞ্জিভূত রাখেন না।
৫. পিতৃসুলভ নেতৃত্ব কি ?
এ ধরনের নেতৃত্বে নেতা অনুসারীদের সাথে পিতৃসুলভ আচরণ করেন। নেতা অনুসারীদের কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করে তাদের দ্বারা কার্যসম্পাদন করেন। নেতা কর্মীদের অভাব-অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি নেন, তাদেরকে সাহায্য নিরাপত্তা প্রদানের চেষ্টা করেন।
৬. লাগামহীন নেতৃত্ব কি?
যে নেতৃত্বে নেতা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও লক্ষ্য অর্জনে কর্মীদের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করেন তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে ।
৭. ইতিবাচক নেতৃত্ব কি?
আর্থিক বা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করে কার্যসম্পাদনে কর্মীদের অনুপ্রাণিত করাকে ইতিবাচক নেতৃত্ব বলে।
৮. স্নায়ুতান্ত্রিক নেতৃত্ব কী?
এ ধরনের নেতৃত্ব কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ঘনিষ্টভাবে তত্ত্বাবধান করে কাজ আদায় করে নেওয়া হয় । নেতা সব সময় নেতৃত্ব ধরে রাখার প্রচেষ্টায় চিন্তিত থাকেন। তিনি আগামী দিনের কাজও আজ শেষ করে ফেলতে চান। এতে কর্মীদের ওপর স্নায়ুবিক চাপ পড়ে এবং নেতা-কর্মী সম্পর্ক তিক্ততায় রূপ নেয়।
৯. কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব কি ?
যে নেতৃত্বে উৎপাদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয় এবং উৎপাদনকে কেন্দ্র করেই সংগঠনে কর্মকাঠামো গড়ে ওঠে তাকে কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব বলে। এখানে কর্মীদের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় না।
১০. কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব কি ?
যে নেতৃত্ব সংগঠনে উৎপাদনের চেয়ে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয় তাকে কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব বলে। এখানে কর্মীদের প্রয়োজন মিটিয়ে তাদের দ্বারা কাজ করিয়ে নেয়া হয়।
১১. দন্দ কি ?
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি, দল বা সংঘঠনের মতভেদকে দন্দ বলে।
১২. রূপান্তরমূলক নেতৃত্ব কি ?
এ ধরনের নেতৃত্ব উদ্ভাবন ও ভিশনের নিরিখে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। নেতা শুধু সংগঠনের গতানুগতিক নেতৃত্ব বা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন পর্যন্তই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেন না বরং কর্মীদের সামনে আশার দিগন্ত উন্মোচন করেন। অনুসারীরা এ ধরনের নেতৃত্বে উদ্দীপ্ত হয় এবং চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যশীল সাংগঠনিক পরিবর্তনে অনুকূল পরিবেশ গঠনে নেতার সাথে ঐকতান সৃষ্টি করে।
১৩. মোহনীয় / ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্ব কি ?
নেতার মোহনীয় শক্তির দ্বারা অনুসারিদের উদ্ধুদ্ধ প্ররোচিত ও প্রভাবিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের উদ্দেশ্যার্জনের জন্য পরিচালিত করার প্রক্রিয়াকে মোহনীয় নেতৃত্ব (Charismatic leadership) বলে।
১৪. অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব কি ?
যে ধরনের নেতৃত্বে সংগঠনে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের সম্পৃক্ত করা হয় তাকে অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব বলে।
১৫. লাগামহীন নেতৃত্ব কি ?
যে নেতৃত্বে নেতা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও লক্ষ্য অর্জনে কর্মীদের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভার করেন তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে।
অধ্যায় ১০ নিয়ন্ত্রণ
১. নিয়ন্ত্রণ কি ?
নিয়ন্ত্রণ একটি ফলাবর্তন (feedback) ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জনের জন্যে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত আদর্শমানের ভিত্তিতে অর্জিত ফলাফলের তুলনা করে এবং কোন ভূল থাকলে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ।
২. ROI কি ?
Return On Investment > অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগে কি পরিমাণ উপার্জন করা সম্ভব তা নির্ণয়ের প্রক্রিয়াকে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বলে ।
৩. আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ কি ?
যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিধি-বিধান, নীতি, পদ্ধতি ও আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্বের ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় তাকে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ বলে।
৪. সংস্কৃতিনির্ভর নিয়ন্ত্রণ কি ?
যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় আদর্শ, পারস্পরিক মূল্যবোধ, প্রত্যাশিত আচরণের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে তাকে সংস্কৃতি নির্ভর নিয়ন্ত্রণ বলে। এ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে তোলা।
৫.বাজেটারী নিয়ন্ত্রণ কি ?
যখন বাজেটকে ভিত্তি করে অর্জিত কার্যসম্পাদনকে মূল্যায়ন করা হয়, বিচ্যুতি নির্ণয় করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয় তখন এরূপ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে বাজেটারী নিয়ন্ত্রণ বলে। অর্থাৎ বাজেট বাস্তবায়নই হচ্ছে বাজেটারী নিয়ন্ত্রণ ।
৬. কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ বিন্দু কি ?
কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের ফলপ্রদতা পরিমাপের জন্য নিয়ন্ত্রণের মুখ্য ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে সেখানে নিয়ন্ত্রণ মান প্রতিষ্ঠাপূর্বক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হলে উক্ত ক্ষেত্রসমূহকে কৌশলগত বিন্দু বলে।
৭. ই- কমার্স কী?
ই-কমার্স বলতে ইন্টারনেটের সাহায্যে ব্যবসায়-বাণিজ্য অর্থাৎ পণ্য ও সেবার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যাবলীকে বোঝায়।
৮. নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি কি ?
নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি হলো- পরিকল্পনা।
৯. PERT এর পূর্ণরূপ কি ?
Performance Evaluation & Review Technique.
১০. সংকটপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিন্দু কী?
ব্যবস্থাপকীয় কার্যপ্রক্রিয়ায় যে ক্ষেত্রগুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে প্রতীয়মান হয়, সেগুলো সংকটনাপন্ন বা কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ বিন্দু নামে পরিচিত। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার যে স্তরে ব্যবস্থাপককে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হয়, তাকে সংকটনাপন্ন নিয়ন্ত্রণ বিন্দু বলে।
১১. বেঞ্চমার্কিং কি ?
বেঞ্চমার্কিং বলতে আদর্শ স্থাপন প্রক্রিয়াকে বুঝায়। মূলত এটি একটি পদ্ধতি যেখানে উৎপাদনশীলতা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
১২. IBRD এর পূর্ণরূপ লিখ ।
International Bank for Reconstruction and Development.