আসসালামুওয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন আজকে আমরা ব্যবসায় অর্থায়নের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যবসায় অর্থায়ন কি এর গুরুত্ব, লক্ষ্য ও মূলনীতি সম্পর্কে আলোচনা করবো । এই পোস্টটি ভালোভাবে পরলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পাওয়া যাবে । তাহলে চলুন প্রথমেই শুরু করি ব্যবসায় অর্থায়ন কি বা ব্যবসায় অর্থায়ন কাকে বলে তা দিয়ে –
ব্যবসায় অর্থায়ন কি
ব্যবসায় অর্থায়ন কি বা ব্যবসায় অর্থায়ন কাকে বলে : কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তহবিলের সংস্থান করাকে ব্যবসায় অর্থায়ন বলে । ব্যবসায় বলতে আমরা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে কোনো পণ্য বা সেবা উৎপাদন, বণ্টন ও বিপণন-এর সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যাবলিকে বুঝি। কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন, তাই তার পরিমাণ নির্ণয়, উক্ত অর্থ বা তহবিলের সম্ভাব্য উৎসসমূহ শনাক্তকরণ, বিভিন্ন নীতি ও শর্ত বিবেচনা করে অর্থসংগ্রহ, সংগৃহীত অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ওই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়াকে ব্যবসায় অর্থায়ন বলে ।
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের অর্থের প্রয়োজন ও তার উৎস নিরুপণ এবং এই উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ বা ঋণের যথোপযুক্ত ব্যবহারকেই অর্থায়ন বলে। অর্থাৎ কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যাবলির পরিকল্পনা, সমন্বয়সাধন, নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত কাজের প্রয়োগকে ব্যবসায় অর্থায়ন বলে।
এতক্ষণ আমরা ব্যবসায় অর্থায়ন কি তা জানলাম এখন আমরা ব্যবসায় অর্থায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো ।
ব্যবসায় অর্থায়নের গুরুত্ব
যে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যবসার অর্থায়ন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ ব্যবসা-সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রভাব আর্থিক সিদ্ধান্তে রূপ নেয়। ব্যবসায় অর্থায়নকে যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। ব্যবসায়ে অর্থায়নের গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো-
(ক) ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়তা প্রদান: একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যবসায় অর্থায়ন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ব্যবসায় অর্থায়নের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থ সংগ্রহের নিমিত্তে সঠিক উৎসসমূহ বাছাইকরণ, বাছাইকৃত উৎসগুলো থেকে স্বল্প ব্যয়ে অর্থ সংগ্রহ: সংগৃহীত অর্থ মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ, ফলপ্রসূভাবে নগদ অর্থের ব্যয় মেটানো, আর্থিক কার্যাবলির সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ; উদ্বৃত্ত অর্থ ও আর্থিক দলিলাদির যথাযথ সংরক্ষণ; অর্জিত মুনাফার যথাযথ বণ্টন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে কারবারের মূল উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব। যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য সুষ্ঠু ও সুদৃঢ় ব্যবসায় অর্থায়নের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
(খ) আর্থিক ব্যবস্থাপনার আধুনিক কলা-কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ : যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন, বিক্রয়, বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে জটিলতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। জটিল সমস্যা সমাধান করার জন্য ও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আর্থিক কাজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে হলে ব্যবসায় অর্থায়নের আধুনিক কলা-কৌশল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ এবং সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া কোনো কোম্পানির মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই অর্থায়ন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(গ) ব্যবসায়ে সফলতা আনয়নে সহায়তা প্রদান: সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবসায় অর্থায়ন ব্যবস্থা যে প্রতিষ্ঠানের জীবনী শক্তি । ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ধাপে ধাপে অর্থের প্রয়োজন দেখা দেয়। এ প্রয়োজন মেটানোর জন্য কেবল অর্থ সংগ্রহ করলেই চলবে না বরং তার ব্যবহার বা বিনিয়োগ অর্থবহ করে তুলতে হবে। একটি ব্যবসায়র সফলতা, টিকে থাকা, উৎপাদন ও বিক্রয় বজায় রাখা এবং সম্পত্তিতে যথাযথ বিনিয়োগ করার সামর্থ্য ও ইচ্ছা বহুলাংশে অর্থায়নের নীতি ও কলা-কৌশলের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
অর্থাৎ একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, যেকোনো ব্যবসায়ের সফলতা ব্যবসায় অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন >>> ফিনান্স ও ব্যাংকিং কি বা কাকে বলে ?
ব্যবসায় অর্থায়নের মূল লক্ষ্য কি
অর্থায়নের লক্ষ্য বা Goal of Finance যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্থসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো এবং তাদের বাস্তবায়নের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে ওই কোম্পানি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক কর্তৃক সুষ্ঠুভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে বিনিয়োগ, অর্থায়ন এবং লভ্যাংশ সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হয় । একটি ফার্মের সর্বজনস্বীকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ কোম্পানির মালিকদের সার্বিক অর্থনৈতিক কল্যাণ (Economic Welfare) । প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সার্বিক অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মূলত দুটি পন্থা আছে। অর্থাৎ যে কোনো কোম্পানির দুটি মূল উদ্দেশ্য :
১. মুনাফা সর্বাধিকরণ (Profit Maximization), ২. সম্পদ সর্বাধিকরণ (Wealth Maximization)
১. মুনাফা সর্বোচ্চকরণ:
অর্থমূল্যে বা টাকার পরিমাণে মুনাফা বৃদ্ধি করাকে মুনাফা সর্বোচ্চকরণ বলা হয়।
- স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়
- ঝুঁকি বিবেচনা করা হয় না
- অর্থের সময়মূল্য বিবেচনা করা হয় না
২.সম্পদ সর্বোচ্চকরণ :
ব্যবসায়ের নিট বর্তমান মূল্য বা শেয়ার মূল্য সর্বাধিকরণ করাকে সম্পদ সর্বোচ্চকরণ বলা হয়।
- দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়;
- ভবিষ্যত ঝুঁকি বিবেচনা করা হয়;
- অর্থের সময়মূল্য বিবেচনা করা হয়।
অর্থায়নের নীতিমালা / ব্যবসায় অর্থায়নের নীতিসমূহ
যে কোনো কোম্পানির মূল লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অর্থায়নের নীতিমালা কলাকৌশল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ও তা প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থায়নের নীতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে সুষ্ঠুভাবে অর্থায়ন কার্যাবলি সম্পাদন করাও সম্ভবপর হবে না। ফলে, প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলি অর্জন ব্যাহত হবে। অর্থায়নের এ সব নীতি অর্থ সহ বিনিয়োগ, আর্থিক ঝুঁকি এবং অর্থায়নের অন্যান্য কাজ সম্পাদনের সময় বিবেচনায় আনতে হয়। নিচে অর্থায়নের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নীতির ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো-
১. তারল্য ও মুনাফা অর্জন ক্ষমতার মধ্যে সমন্বয় নীতি : যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূলধন বিনিয়োগের মাধ্যমেই মুনাফা অর্জন করা হয়। অর্থাৎ মূলধন বিনিয়োগ না করে বা কমিয়ে তারল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব, তবে তাতে লাভের পরিমাণ কম হবে। আবার সমুদয় মূলধন বিনিয়োগ করলে তারল্য কমে যাবে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে আর্থিক নির্বাহীগণ ব্যবসার তারল্য ও মুনাফা অর্জন ক্ষমতার মধ্যে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে সম্পদের ব্যবস্থাপনা করে থাকে। এই তারল্যের সাথে ব্যবসার অর্জিত মুনাফার সম্পর্ক পরস্পরবিরোধী। তাই কাম্য পরিমাণ তারল্য ব্যবসায়ে অবশ্যই রাখতে হবে; অন্যথায় ব্যবসায়র চলতি দায় পরিশোধে অসুবিধা হবে।
২. ঝুঁকি ও মুনাফা সমন্বয়সাধন নীতি : এ নীতির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে যে, আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংগৃহীত বিনিয়োগের ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে সমন্বয়সাধন করে আর্থিক ব্যবস্থাপক আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কারণ অধিকাংশ আর্থিক সিদ্ধান্তই ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে গৃহীত হয়। এমতাবস্থায়বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এ নীতি বিবেচনায় আনা অপরিহার্য। কোম্পানির আয় বৃদ্ধির জন্য অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় এবং সে ঝুঁকির পরিণাম কী হবে তাও বিবেচনায় রাখতে হবে। যে সব বিনিয়োগে ঝুঁকি বেশি সে সব বিনিয়োগ থেকে বিনিয়োগকারী অধিক হারে মুনাফা প্রত্যাশা করে। তবে বেশি আয়ের আশায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মূলধন নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৩. পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণের নীতি (Principles of Diversity): এ নীতির মূল কথা হলো , কোনো একটি বিশেষ প্রকল্পে অত্যধিক অর্থ বিনিয়োগ না করে একাধিক প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করে ঝুঁকি হ্রাস করা । কারণ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা হ্রাসকরণ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ব্যবসার যে কোনো একটি সম্পত্তি যেমন- মজুদ পণ্যে প্রয়োজনাতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ না করে ব্যবসার অন্যান্য প্রয়োজনীয় সম্পত্তি যেমন- প্রাপ্য হিসাবাদি, বাজারযোগ্য সিকিউরিটি ইত্যাদিতে অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত। এতে করে বিনিয়োগজনিত ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব।
৪. অর্থের সময়-মূল নীতি : ব্যবসায়ের আর্থিক সিদ্ধান্তে অর্থের সময়-মূলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়ের আবর্তনে অর্থের মূল্য হ্রাস পেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, আজকের ১০০ টাকা এবং ৫ বছর পরের ১০০ টাকার মান এক নয়। পাঁচ বছর পরের ১০০ টাকার মান বর্তমান ১০০ টাকার মানের চেয়ে সাধারণত কম হয়ে থাকে। অর্থের এ সময় মূল্য নীতি ব্যবসা অর্থায়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই এটা বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখতে হয়।
৫. উপযুক্ততার নীতি : অর্থ সংগ্রহ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নীতির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, ব্যবসার চলতি সম্পত্তি স্বল্পমেয়াদি উৎস থেকে এবং স্থায়ী সম্পত্তি দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি উৎস থেকে সংস্থান করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসার যে কোনো চলতি সম্পত্তি যেমন- মজুদ পণ্যের অর্থায়ন করতে হলে এ নীতি অনুযায়ী অবশ্যই তা স্বল্পমেয়াদি কোনো উৎস যেমন- বাণিজ্যিক ব্যাংক, ব্যবসায় ঋণ দিয়ে অর্থায়ন করা উচিত। অন্যদিকে ব্যবসার কোনো স্থায়ী সম্পত্তি যেমন- জমি, যন্ত্রপাতি প্রভৃতির জন্য অর্থায়ন দীর্ঘ বা মধ্যমেয়াদি যে কোনো উৎস যেমন- আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, বন্ড ও শেয়ার বিক্রয় ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থায়ন করা উচিত।
৬. নিট নগদ অর্থ প্রবাহনীতি : কোনো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য মূলধন ও বিনিয়োগকৃত মূলধন থেকে প্রত্যাশিত আয়ের পরিমাণ যথার্থ হওয়া উচিত। এ নীতি প্রয়োগের ফলে সম্পদ বৃদ্ধিকরণের সংখ্যাগত ও গুণগত প্রভাব এবং ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা একসঙ্গে বিবেচনায় আনতে হয়।
৭. ব্যবসায়িক চক্রের সমন্বয় নীতি : এ নীতি অনুযায়ী প্রতিটি অর্থায়ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ব্যবসায় চক্রের সাথে সমন্বয়ের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে। কারণ ব্যবসায়িক চক্র এবং অর্থায়ন সিদ্ধান্ত পরস্পরের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
৪. লভ্যাংশ নীতি : মৌলিক অর্থায়ন সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো লভ্যাংশ সিদ্ধান্ত । অর্জিত মুনাফার সুষ্ঠু বণ্টন এবং প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের উপর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভর করে। অর্থাঃ কোনো একটি বছরে অর্জিত মুনাফার কতটা অংশ মালিকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে এবং কতটা অংশ নতুন বিনিয়োগের জন্য সংরক্ষণ করা হবে সেটা নির্ধারণ করা হয় লভ্যাংশ নীতির মাধ্যমে।
অর্থায়নের আরও কিছু সহায়ক নীতি আছে, সেগুলো নিম্নরূপ –
- তথ্যের সংবেদনশীলতার নীতি : লভ্যাংশ ঘোষণার ফলে শেয়ারহোল্ডারদের উপর এবং শেয়ারের বাজার মূল্যের উপর কী প্রভাব পড়বে সেটা ভেবে দেখতে হবে ।
- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতি : আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ব্যবসায়ের মুনাফা সংক্রান্ত এবং লভ্যাংশ ঘোষণা প্রেক্ষাপট স্বচ্ছ ও সহজভাবে শেয়ারহোল্ডার বা মালিকদের নিকট উপস্থাপন করাও অর্থায়নের একটি সহায়ক নীতি।
- ধারে বিক্রয় নীতি : প্রত্যাশিত পরিমাণ তারল্য বজায় রাখার জন্য মোট সম্ভাব্য বিক্রয়ের কতটা নগদে হবে এবং কতটা ধারে হবে সেটা নির্ধারণ করে নিতে হবে।
- আদায়নীতি : অর্থায়নের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবসায়ের অন্যান্য বিভাগের কার্যাবলির সাথে সমন্বয়েরও প্রয়োজন রয়েছে।
- সমন্বয় স্বাধন নীতি : স্বল্প মেয়াদে মুনাফা সর্বোচ্চকরণ করা হলেও দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো সম্পদ সর্বোচ্চকরণ। যেকোনো বিনিয়োগ ও আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সম্পদ সর্বোচ্চকরণের নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
- সম্পদ সর্বোচ্চকরণ নীতি : স্বল্প মেয়াদে মুনাফা সর্বোচ্চকরণ করা হলেও দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো সম্পদ সর্বোচ্চকরণ। যেকোনো বিনিয়োগ ও আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সম্পন সর্বোচ্চকরণের নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
পরিশেষে আশা করছি ব্যবসায় অর্থায়ন কি , ব্যবসায় অর্থায়নের গুরুত্ব , ব্যবসায় অর্থায়নের লক্ষ্য , অর্থায়নের মূলনীতি গুলো সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা পেয়েছেন । আমাদের পোস্ট ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভূলবেন না