প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ হলো মানুষ । কারণ মানুষ ছাড়া কোন কাজই করা সম্ভব নয় । প্রতিষ্ঠানের যে অংশ মানব সম্পদ নিয়ে কাজ করে তাঁকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বলে ।
আজকে আমরা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর ধারণা , মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কি বা কাকে বলে ? মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্দ্যেশ্য এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সুচারুরুপে পরিচালনা করতে একজন পরিচালকের কি কি গুন থাকা প্রয়োজন তা নিয়ে আলচনা করবো ।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা
দক্ষতা ও ফলপ্রসূতার সাথে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে দক্ষ কর্মী সংগ্রহ ও নিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়াকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।
প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মী তথা মানব সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে ব্যবস্থাপনার যে অংশ কাজ করে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা হিসেবে পরিচিত। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, তাদের সংগ্রহ, নির্বাচন ও নিয়োগ, উন্নয়ন, কর্মীদের কাজে উদ্বুদ্ধকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সাথে সম্পর্কিত। মানব সম্পদ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি। তাই প্রতিষ্ঠানের এ সম্পদের বাছাই, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, বেতন ও মজুরি প্রদান, প্রেষণা ও সুযোগ-সুবিধা দান, কর্মীদের অভাব-অভিযোগ নিরসন, কর্মীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়সমূহ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয় তাকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা হিসেবে অভিহিত করা যায়।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ?
প্রাতিষ্ঠানিক সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় মানব সম্পদের পরিকল্পনা, সংগ্রহ এবং উন্নয়নের সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পৃক্ত।
Skinner Ivancevich-এর মতে, “Human Resource Management can be defined as the process of accomplishing organisational objective by acquiring, retaining, terminating, developing and properly using the human resources in an organisation.”
অর্থাৎ, সাংগঠনিক উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রত্যাহার, উন্নয়ন এবং একটি প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য
প্রতিষ্ঠানের ৬ টি মূল উপকরণের মধ্যে মানব সম্পদ অন্যতম। কারণ মানব সম্পদ ছাড়া কোন কাজই করা সম্ভব না । প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌছে দেওয়া পর্যন্ত মানব সম্পদের দরকার হয়। তাই এই মানব সম্পদ প্রতিষ্ঠানে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে ।
১. মানব সম্পদের ফলপ্রসূ ব্যবহার (Effective use of human resources): প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের কাম্য ব্যবহারকল্পে মানবশক্তিকে সুদক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। কর্মীদের উজ্জীবিত করে তোলার লক্ষ্যে সকল প্রকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের গতি সচল রাখার জন্য মানব সম্পদের কাম্য ব্যবহার অপরিহার্য। মানব সম্পদের এরূপ কাম্য ব্যবহারের লক্ষ্যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়।
২. যথোপযুক্ত কর্মী নির্বাচন (Selection of right personnel): প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন, ক্রয়বিক্রয় ও বিপণন প্রভৃতি কার্যাদি দক্ষ কর্মী বাহিনীর উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। তাই প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী নির্বাচন ও নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সঠিক কর্মীনীতি ও নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে সুযোগ্য কর্মী নির্বাচন করে থাকে।
৩. সুষ্ঠু কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা (To make efficient workforce): মানব সম্পদ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তাই সুষ্ঠুভাবে কর্মী সংগ্রহ ও নির্বাচন, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, প্রণোদনা দান, উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রদান ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানের দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কাজ করে থাকে।
৪. কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি (Increase efficiency of worker): কর্মীর দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিটি কর্মীর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত উন্নতিসাধন ও যোগ্যতার উন্নতিবিধান করা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য।
৫. কর্মীবৃন্দের মধ্যে উত্তম সম্পর্ক স্থাপন (To maintain cordial relationship among the workers): প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির পরিবেশ সৃষ্টি করে কর্মীর কাজে শৃঙ্খলা আনয়ন করা যায় এবং প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়।
৬. ব্যবস্থাপনা ও কর্মীর মধ্যে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা (To maintain co-operation among management and worker): প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও কর্মীর মধ্যে সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা বাস্ত বায়ন ও লক্ষ্য অর্জনকে সহজতর করাও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম উদ্দেশ্য।
৭. কার্যসন্তুষ্টি বিধান (To create job satisfaction): প্রতিষ্ঠানের কর্মীর কাজের স্বীকৃতিদান, উচ্চ মনোবল প্রতিষ্ঠা, কর্মীর মনোভাব ও আচরণ পরিবর্তন, সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মীর কার্যসন্তুষ্টি আনয়ন করা সম্ভব। কার্যসন্তুষ্টি প্রতিষ্ঠানে শ্রম ঘূর্ণায়মানতার হার হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
১২. কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ (Welfare activities): কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থাকরণ, ক্যান্টিন সুবিধা, বোনাস, ভবিষ্যৎ তহবিল, অবসরভাতা, সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগদান, স্কুল, কলেজ, উপাসনালয় ইত্যাদির সুব্যবস্থা করাও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম উদ্দেশ্য। এসব কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কর্মীর কার্যসন্তুষ্টি আনয়ন করে কর্মীর কাজে আত্মনিয়োগে উৎসাহিত করে।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও যৌথ দরকষাকষির সুযোগদান, শ্রম ঘূর্ণায়মানতার হার হ্রাস, কর্মীদের সংরক্ষণ, পদোন্নতির সুযোগ দান ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করাও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। এসব উদ্দেশ্য অর্জনে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা যথাযথ কার্যপন্থা গ্রহণ করে থাকে।
একজন ভালো মানব সম্পদ ব্যবস্থাপকের গুণাবলি
প্রতিষ্ঠানের মানবীয় উপাদান হচ্ছে সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সাথে এরূপ জটিল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মানব প্রকৃতির ব্যবস্থাপনা কার্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে সম্পাদন করতে হয়। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে তাই হতে হবে কতিপয় বিশেষ যোগ্যতার অধিকারী; বহুগুণ সম্পন্ন এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। নিম্নে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপকের যোগ্যতা ও গুণাবলিসমূহ আলোচিত হলো:
১. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও জ্ঞান (Formal education & knowledge): বিভিন্ন প্রকারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মানব সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ভার মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর ন্যস্ত থাকে। তাই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে প্রয়োজনীয় উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত, দক্ষ ও পারদর্শী করে গড়ে তোলা সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
২. ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা (Managerial skill): প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে মানব শক্তিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তাই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে ব্যবস্থাপকীয় বিভিন্ন প্রকার নৈপুণ্য ও দক্ষতার অধিকারী হতে হবে।
ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতাসমূহ যেমন- বিশেষায়িত বা কারিগরি দক্ষতা, মানবীয় সম্পর্ক উন্নয়ন দক্ষতা, অনুধাবন দক্ষতা, সমস্যা নির্ণয় ও সমাধানের দক্ষতা, সমস্যা বিশ্লেষণমূলক দক্ষতা, যোগাযোগ নৈপুণ্য ও দক্ষতা ইত্যাদি থাকা বাঞ্ছনীয়।
৩. জ্ঞানের ব্যাপকতা (Pervasiveness of knowledge) মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে প্রতিষ্ঠানের জনশক্তির পরিচালনায় নিয়োজিত থাকতে হয়। তাই মানবিক আচরণ ও মানব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়াদি অনুধাবনের জন্য সংশ্লিষ্ট নিম্নোক্ত বিষয় ও শাখা সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান থাকা অপরিহার্য যেমন:
ক. সমাজবিজ্ঞান: মানুষের সামাজিক অবস্থা ও আচরণ সম্পর্কিত বিষয়ে জ্ঞান দান করে।
খ. মনোবিজ্ঞান: মানুষের ব্যক্তিক সচেতনতা ও মনস্তত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সহায়ক।
গ. নৃ-তত্ত্ব বিদ্যা: মানুষের সামাজিক রীতি-নীতি, প্রথা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণে সহায়তা প্রদান করে।
ঘ. যুক্তিশাস্ত্র: যুক্তির মাধ্যমে ঘটনাবলির বিশ্লেষণ ও যুক্তির ভিত্তিতে রীতি-নীতি প্রতিষ্ঠার সহায়ক।
ঙ. দর্শনশাস্ত্র: মানব প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলি অনুধাবনে সহায়ক।
চ. নীতিশাস্ত্র: মানব সম্পদের মনোবল, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ সহায়ক।
ছ. আচরণ বিজ্ঞান: মানব আচরণ ও সচেতনতাবোধ সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের সহায়ক।
জ. অঙ্কশাস্ত্র ও হিসাববিজ্ঞান: আর্থিক বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের সহায়ক।
ঝ. পরিসংখ্যান বিদ্যা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সম্পর্কিত জ্ঞানার্জনের সহায়ক।
এ. রাষ্ট্রবিজ্ঞান: দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে মানব সম্পদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ে সহায়ক।
ট. ইতিহাস ও সংস্কৃতি: বর্তমান ও অতীত ঘটনাবলির সাথে বর্তমানের সম্পর্ক নির্ণয় ও বিশ্লেষণ সম্পর্কিত জ্ঞান দানে সহায়ক।
ঠ. অর্থনীতি: সীমাবদ্ধ সম্পদের কাম্য ব্যবহার নিশ্চিত করার পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
ড. ব্যবস্থাপনা: ফলপ্রসূ ও দক্ষতার সঙ্গে মানব সম্পদ ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান দানে সহায়ক।
৪. বিশেষায়িত জ্ঞান (Specialised knowledge): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের কার্যবিশ্লেষণ, কার্যমূল্যায়ন, কার্যসম্পাদনসহ নানাবিধ কাজ সম্পাদন করতে হয়। ফলে তাঁর এসব সম্পর্কিত এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিশেষায়িত জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
৫. নেতৃত্বসুলভ গুণাবলি (Leadership qualities): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে প্রতিষ্ঠানের সকল মানৰ সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনায় নেতৃত্বদানের ক্ষমতা ও গুণাবলির অধিকারী হতে হয়। এজন্য তাঁর শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থাকতে হবে। ন্যায়পরায়ণতা ও নিরপেক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য, বিনয় ও যথেষ্ট সাহস থাকা অপরিহার্য। ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস, ঝুঁকি, দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষমতা, প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা, বিচার-বিবেচনা ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা, প্রেষণাদানের ক্ষমতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা, আগ্রহ ও সৃজনশীল প্রতিভা, মূল্যায়ন ক্ষমতা এবং শিক্ষাদানের যোগ্যতা ও দক্ষতা ইত্যাদি নেতৃত্ব সুলভ গুণাবলির অধিকারী হওয়া আবশ্যক।
৬. সাধারণ গুণাবলি (General qualities): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে সাধারণ মানব সম্পর্কিত কতিপয় গুণাবলির অধিকারী হতে হবে। তাকে হতে হবে ভদ্র ও সংযত আচরণশীল, সময় সচেতন, অধ্যবসায়ী ও কঠোর পরিশ্রমী, সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ, উন্নত মনোভাব ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী এক আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব।
৭. চারিত্রিক গুণাবলি (Qualities of good character) মানব সম্পদ ব্যবস্থাপককে হতে হবে উন্নত ও সৎগুরিত্রের অধিকারী এক অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলির কারণেই তিনি হবেন প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের কাছে এক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর ন্যায়নিষ্ঠা ও উন্নত চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রতিষ্ঠানের সকল মানব সম্পদকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে উৎসাহ যোগাবে। তিনি হবেন নিরপেক্ষ, দূরদর্শিতা সম্পন্ন ও সহযোগিতাকে সমৃদ্ধ করার এক সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন >>> বাংলাদেশের বিশেষায়িত ব্যাংক কয়টি ও কি কি ?
FAQs
১. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কি ?
উত্তর: দক্ষতা ও ফলপ্রসূতার সাথে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে দক্ষ কর্মী সংগ্রহ ও নিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়াকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।
২. আধুনিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কাকে মনে করা হয়?
উত্তর: Robert Owen.
৩. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার জনক কে ?
উত্তর: রবার্ট ওয়েন ।
৪. মানব সম্পদ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ মানব সম্পদের চাহিদা নিরূপণের প্রক্রিয়াকে মানব সম্পদ পরিকল্পনা বলা হয়।
৫. কর্মী সংগ্রহ কি ?
উত্তর: সংগঠন কাঠামো অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মীর চাহিদা পূরণকল্পে সৃষ্ট ও শূন্যপদে সম্ভাব্য কর্মীকে আকৃষ্ট করে আবেদনে আগ্রহী করে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণকে কর্মী সংগ্রহ বলে।
৬. কর্মী নির্বাচন কি ?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক উৎস থেকে শূন্য পদের জন্য সংগৃহীত আবেদনকারীদের মধ্য থেকে সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে চূড়ান্তভাবে বাছাই করার প্রক্রিয়াকে কর্মী নির্বাচন বলে।
৭. হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কি বা কাকে বলে ?
সাংগঠনিক উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রত্যাহার, উন্নয়ন এবং একটি প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বলে ।