তফসিলি ব্যাংক কি ? তফসিলভুক্ত হওয়ার শর্ত, তফসিলভুক্ত ও তফসিল বহির্ভুত ব্যাংকসমূহের তালিকা
তফসিলি ব্যাংক কি ? সেই সম্পর্কে আলোচনায় যাওয়ার আগে আমরা যেনে নেই তালিকাভুক্তির ভিত্তিতে ব্যাংকের প্রকারভেদ । বাংলাদেশে তালিকাভুক্তির ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১. তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও ২. অতালিকাভুক্ত ব্যাংক ।
১. তালিকাভুক্ত ব্যাংক : যে ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হয়ে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম-নীতি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাকে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। যেমন সোনালী ব্যাংক লি. সিটি ব্যাংক লি., উত্তরা ব্যাংক লি. প্রভৃতি তালিকাভুক্ত ব্যাংক।
২. অতালিকাভুক্ত ব্যাংক : যে ব্যাংক দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী গঠিত হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নয়, তাকে অতালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। এ ধরনের ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদত্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না। যেমন, কো-অপারেটিভ ব্যাংক লি.।
এখন আমরা আসি তফসিলি ব্যাংক কি সেই বিষয়ে-
তালিকাভুক্ত ব্যাংকের আরেক নাম তফসিলি ব্যাংক । কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকার অন্তর্ভুক্ত ব্যাংককে তফসিলি ব্যাংক বলে । অর্থাৎ দেশের প্রচলিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী গঠিত যে সকল ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মকানুন, নীতি ও নির্দেশ মেনে চলার অঙ্গীকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত বা তালিকাভুক্ত হয় তাদেরকে তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ব্যাংক বলা হয় । তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ব্যাংকসমূহ প্রত্যক্ষভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক, নীতিগত ও প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে।
উপরের আলোচনা থেকে তফসিলি ব্যাংকের কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা দেখতে পাই-
- তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত ব্যাংকসমূহকে বোঝায়
- এ ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকাশ ঘরের সুবিধা লাভ করে
- প্রত্যেক তালিকাভুক্ত ব্যাংককেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ তারল্য সংরক্ষণ করতে হয়
- তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল রাখতে হয়
- এ ব্যাংকসমূহকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সকল নির্দেশনা মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
তালিকাভুক্ত বা তফসিলভুক্ত হওয়ার শর্ত
একটি দেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক থাকে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেশের প্রধান ব্যাংক বলা হয়। এ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ও নিয়ন্ত্রণে দেশের অন্যান্য ব্যাংক গঠিত ও পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু সুযোগ সুবিধা পেতে হলে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হতে হয় ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্তসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. আইনানুগ সংগঠন: দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং আইনে সংগঠিত এবং সরকারি অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হওয়ার উপযুক্ত বলে গণ্য হবে।
২. নির্দিষ্ট পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল : কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশিত কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন এবং সংরক্ষিত তহবিল থাকলে যে কোনো ব্যাংক তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের পরিমাণ উক্ত দেশের আইনানুযায়ী নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের পরিমাণ কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । সমবায় ব্যাংকের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হয় না ।
৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট নগদ জমার অনুপাত: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হতে হলে কোনো ব্যাংককে তারা মোট সংগৃহীত আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ নগদ আকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট জমা রাখতে হয় । এ নগদ জমার অনুপাত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের হয়।
৪. যথাযথ তরল সম্পদ সংরক্ষণ : ব্যাংক ব্যবসায়ের অন্যতম মূলনীতি তারল্য অবস্থা সংরক্ষণের জন্য ব্যাংককে তার মোট সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ তরল সম্পত্তি আকারে বন্ড বা সিকিউরিটিজ কিনে সংরক্ষণ করতে হয় । বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ১৩% । তবে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এ হার ৫.৫% । তবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে কোনো তরল সম্পদ রাখতে হয় না।
৫. সাপ্তাহিক প্রতিবেদন তৈরি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট পাঠানো: তালিকাভুক্তির জন্য প্রত্যেক ব্যাংককে তার সাপ্তাহিক কার্যবিবরণীর একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হয় এবং তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট পাঠাতে হয়। সাধারণত সাপ্তাহিক কার্যদিবসের শেষ দিনে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন পাঠিয়ে থাকে।
৬. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসরণ: তালিকাভুক্ত ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী ব্যবসায় পরিচালনা করার অঙ্গীকার প্রদান করতে হয়। প্রত্যেক সদস্যভুক্ত ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি অনুসরণ করে ব্যবসার পরিচালনা করে। বাংলাদেশেও তালিকাভুক্তির জন্য এ অঙ্গীকার অনুসরণ করতে হয়।
৭. সততা ও বিশ্বস্ততা: প্রতিটি ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট এ মর্মে অঙ্গীকার প্রদান করতে হয় যে, তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসৃত নীতি ও নিয়মকানুন মেনে চলে ব্যবসায় করবে এবং সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে এ দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ব্যাংকের তালিকা
বাংলাদেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা বর্তমানে ৬১ টি (২০২৩ সাল পর্যন্ত)। বাংলাদেশের এই তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে চার ভাগে ভাগ করা যায় ।
ক. রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক: বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে ৬ টি ।
খ. বিশেষায়িত ব্যাংক: বাংলাদেশে বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে ৩ টি ।
গ. বেসরকারি মালিকানাধীন দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক: বাংলাদেশে বেসরকারি মালিকানাধীন দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক মোট ৪৩ টি যার মধ্যে সাধারণ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩৩ টি এবং ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১০ টি ।
ঘ. বেসরকারি মালিকানাধীন বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক: বাংলাদেশে বেসরকারি মালিকানাধীন বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৯ টি ।
চলুন এইবার দেখে নেওয়া যাক এসকল ব্যাংকসমূহের তালিকা-
ক. রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের তালিকা : [State owned Commercial Banks (SCB’S)]
১. সোনালী ব্যাংক লি. (Sonali Bank Ltd.)
২. জনতা ব্যাংক লি. (Janata Bank Ltd.)
৩. অগ্রণী ব্যাংক লি. (Agrani Bank Ltd.)
- ৰূপালী ব্যাংক লি. (Rupali Bank Ltd.)
৫. বেসিক ব্যাংক লি. (BASIC Bank Ltd.)
৬. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লি. (BDBL)
খ. বিশেষায়িত ব্যাংকের তালিকা [Specialised Banks (SDB’S)]
৭. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (BKB)
৮. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (RAKUB)
৯. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক (NRB Welfare Bank)
গ. বেসরকারি মালিকানাধীন দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ
১০. পূবালী ব্যাংক লি. (Pubali Bank Ltd) (১৯৮৪ সালে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে)
১১. উত্তরা ব্যাংক লি. (Uttara Bank Ltd ) (১৯৮৩ সালে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে)
১২. আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লি. (Arab Bangladesh Bank Ltd )
১৩. ন্যাশনাল ব্যাংক লি. (National Bank Ltd.)
১৪. দি সিটি ব্যাংক লি. (The City Bank Ltd)
১৫. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. (Islami Bank Bangladesh Ltd.)*
১৬. ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স, ইনভেস্টমেন্ট এন্ড কমার্স ব্যাংক লি. (IFIC)
১৭. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি. [United Commercial Bank Ltd. (UCBL)]
১৮. আইসিবি ইসলামী ব্যাংক (ICB Islami Bank ) *
১৯. ইস্টার্ন ব্যাংক লি. [Eastern Bank Ltd. (EBL)]
২০. ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লি. (NCC Bank Ltd.)
২১. প্রাইম ব্যাংক লি. (Prime Bank Ltd.)
২২. সাউথইস্ট ব্যাংক লি. (South-East Bank Ltd.)
২৩. ঢাকা ব্যাংক লি. (Dhaka Bank Ltd.)
২৪. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লি. (Al-Arafah Islami Bank Ltd.) *
২৫. সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লি. (Social Islami Bank Ltd.)
২৬. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লি. (Dutch-Bangla Bank Ltd.)
২৭. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি. (Mercantile Bank Ltd.)
২৮. স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লি. (Standard Bank Ltd.) *
২৯. ওয়ান ব্যাংক লি. (One Bank Ltd.)
৩০. এক্সিম ব্যাংক লি. (Exim Bank Ltd.) *
৩১. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি. Commerce Bank Ltd.) (Bangladesh
৩২. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি. (Mutual Trust Bank Ltd.)
৩৩. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামিক ব্যাংক লি. (First Security Islami Bank Ltd.) *
৩৪. প্রিমিয়ার ব্যাংক লি. (Premier Bank Ltd.)
৩৫. ব্যাংক এশিয়া লি. (Bank Asia Ltd.)
৩৬. ট্রাস্ট ব্যাংক লি. (Trust Bank Ltd.)
৩৭. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লি. (Shahjalal Islami Bank Ltd.) *
৩৮. যমুনা ব্যাংক লি. ( Jamuna Bank Ltd)
৩৯. ব্র্যাক ব্যাংক লি. (BRAC Bank Ltd.)
৪০. পদ্মা ব্যাংক লি. (Padma Bank Ltd.)
৪১. মেঘনা ব্যাংক লি. (Meghna Bank Ltd.)
8২. মিডল্যান্ড ব্যাংক লি. (Midland Bank Ltd.)
৪৩. সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল এন্ড কমার্স ব্যাংক লি. (South Bangla Agricultural & Commerce Bank Ltd.)
৪৪. এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লি. (NRB Global Bank Ltd.) *
৪৫. মধুমতি ব্যাংক লি. (Modhumoti Bank Ltd.)
৪৬. এনআরবি ব্যাংক লি. (NRB Bank Ltd.)
৪৭. এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লি. (NRB Commercial Bank Ltd.)
৪৮. ইউনিয়ন ব্যাংক লি. (Union Bank Ltd.) *
৪৯. সীমান্ত ব্যাংক লি. (Simanta Bank Ltd.)
৫০. কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লি. (Community Bank Bangladesh Ltd.)
৫১. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লি. (Global Islami Bank Ltd.)
ঘ. বেসরকারি মালিকানাধীন বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ (Foreign Commercial Bank)
৫২. হাবিব ব্যাংক লি. (Habib Bank Ltd.)
৫৩. স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (State Bank of India)
৫৪. কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন লি. (Commercial Bank of Ceylon Ltd.)
৫৫. ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (National Bank of Pakistan)
৫৬. সিটি ব্যাংক এন. এ (Citibank N. A
৫৭. উরি ব্যাংক (Woori Bank)
৫৮. দি হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লি. (The Hongkong-Shanghai Banking Corporation)
৫৯. ব্যাংক আলফালাহ্ লি. (Bank Al Falah Ltd.) *
৬০. বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লি. (Bengal Commercial Bank Ltd.)
৬১. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (Standard Chartered Bank)
অতালিকাভুক্ত ব্যাংক বা তফসিল বহির্ভূত ব্যাংকসমূহ :
১. গ্রামীণ ব্যাংক (Grameen Bank)
২. আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক (Ansar VDP Unnayan Bank)
৩. কর্মসংস্থান ব্যাংক (Employment Bank)
৪. পল্লি সঞ্চয় ব্যাংক (Palli Sanchay Bank)
৫. জুবিলী ব্যাংক (Jubilee Bank)
FAQ
দেশের প্রচলিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী গঠিত যে সকল ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মকানুন, নীতি ও নির্দেশ মেনে চলার অঙ্গীকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত বা তালিকাভুক্ত হয় তাদেরকে তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ব্যাংক বলা হয় ।
যে ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হয়ে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম-নীতি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাকে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে।
বাংলাদেশে তালিকাভুক্তির ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১. তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও ২. অতালিকাভুক্ত ব্যাংক ।
যে ব্যাংক দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী গঠিত হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নয়, তাকে অতালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। এ ধরনের ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদত্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না।
যে সকল ব্যাংক দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী গঠিত হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নয়, তাকে তফসিল বহির্ভুত ব্যাংক বলে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক মোট ৬১ টি ।
বাংলাদেশে বিদেশী ব্যাংক কয়টি ?
বাংলাদেশে বিদেশী ব্যাংক ৯ টি ।
বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংক ৪৩ টি ।
বাংলাদেশে তফসিলি ব্যাংক ৬১ টি ।
বাংলাদেশে অতফসিলি ব্যাংক ৫ টি ।
বাংলাদেশে ৬১ টি তফসিলি ব্যাংক রয়েছে ।
বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ৬১ টি ।